"প্রার্থনা"
কবি: বিদ্যাপতি
বিষয়বস্তু: ঈশ্বরের প্রতি
অনুতপ্ত হৃদয়ে প্রার্থনা
প্রকাশভঙ্গি: ভক্তিমূলক ও
আত্মোপলব্ধিমূলক
সারাংশ
বিদ্যাপতির "প্রার্থনা" কবিতাটি একটি গম্ভীর, ভক্তিমূলক কবিতা, যেখানে কবি পরম করুণাময় ভগবান বিষ্ণুর প্রতি নিজের অন্তরের আকুলতা ও বিনম্র নিবেদন প্রকাশ করেছেন। এটি মূলত একটি আত্মোপলব্ধিমূলক কাব্য, যেখানে একজন সাধারণ মানুষের পাপবোধ, জীবনের ক্লান্তি এবং মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছে।
মূল ভাব ও বিশ্লেষণ:
কবিতায় কবি নিজের জীবনের দুর্বলতা, অজ্ঞতা ও মোহগ্রস্ত অবস্থার কথা অকপটে স্বীকার করে ভগবানের করুণা ভিক্ষা করছেন। তিনি বলেন, জন্ম থেকে আজ অবধি তিনি ভগবানকে ভুলে গেছেন, সংসারের মায়া-মোহে আটকে পড়েছেন, কিন্তু এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন—সেই ভগবানই একমাত্র আশ্রয়। কবি অনুতপ্ত হৃদয়ে ভগবানের প্রতি আর্তি জানাচ্ছেন যেন তিনি তাঁকে ক্ষমা করেন এবং তাঁর চরণে ঠাঁই দেন।
আত্মদর্শন ও পাপবোধ:
ঈশ্বরই একমাত্র আশ্রয়:
অনুতাপ ও নিবেদন:
গভীরতা:
উপসংহার:
ভক্তিভাব ও সার্বজনীনতা:
এই কবিতায় শুধু একজন ভক্তের প্রার্থনাই নয়, বরং সমস্ত মানুষেরই এক সাধারণ মানসিক অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। মোহ ও ভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটানোর পর, মানুষ যখন জীবনের সত্য উপলব্ধি করে, তখন সে ঈশ্বরের শরণ নেয়। বিদ্যাপতির কাব্যিক ভাষায় সেই চিরন্তন সত্য ফুটে উঠেছে।
মূল ভাব
· জীবনের ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরে এসে ঈশ্বরের শরণ নেওয়ার আকুতি।
· মানুষের আত্মজিজ্ঞাসা ও ঈশ্বরভক্তির প্রতিফলন।
· মোহময় সংসার থেকে মুক্তির প্রার্থনা।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট
· কবি বিদ্যাপতি একজন বৈষ্ণব কবি, তাঁর কবিতায় ভক্তিভাব গভীর।
· কবিতায় কবি বলেন, তিনি সংসারের মোহে ঈশ্বরকে ভুলে গেছেন।
· কবি ঈশ্বর বিষ্ণুর করুণার আশায় প্রার্থনা করেন।
· অনুশোচনা ও আত্মসমর্পণের মাধ্যমে মুক্তি কামনা করা হয়েছে।
· কবিতা থেকে মানব জীবনের শিক্ষা: আত্মদর্শন ও ঈশ্বরবিশ্বাস।
কবি পরিচিতি:
0 comments:
Post a Comment