Friday, 28 May 2021

তিওয়াগণ

‘তিওয়াদের পরিচয়’ শীর্ষক প্রবন্ধে ত্রয়ী লেখক যথাক্রমে ধনদা কাকতি, রিমল আমচি ও রূপান্তর সেনাপতি তিওয়াদের প্রকৃত পরিচয় একবিংশ শতাব্দীর পাঠকের

 

পাঠ – তিওয়াগণ

TIWA TRIBES


সংক্ষিপ্তসারঃ

‘তিওয়াদের পরিচয়’ শীর্ষক প্রবন্ধে ত্রয়ী লেখক যথাক্রমে ধনদা কাকতি, রিমল আমচি ও রূপান্তর সেনাপতি তিওয়াদের প্রকৃত পরিচয় একবিংশ শতাব্দীর পাঠকের সন্মুখে উপস্থাপিত করেছেন। প্রাচীনকাল থেকেই বসবাস করে আসা একটি নৃগোষ্ঠী হল তিওয়া। ভাষিক দিক দিয়ে তারা ইন্দো-চীনের অন্তর্গত তিব্বত-বর্মীয় ভাষা গস্থী পরিবারের বৃহত্তর শাখা বোড়োর অন্তর্গত। বর্তমানে এই গোষ্ঠীর লোকেরা অসমের নগাঁও, মরিগাঁও, কামরূপ, কার্বি আংলং, জোড়হাট, ধেমাজি, লখিমপুর, শদিয়া ও মেঘালয় রাজ্যের কিছু অংশে বিশৃঙ্খল ভাবে রয়েছে। তিওয়াদের সূক্ষ্মভাবে যদিও দাতিঅলিয়া, পাহাড়িয়া এবং থলোয়ালি এই তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় , তবুও বর্তমানে পাহাড়ি ও সমতলের বাসিন্দা হিসাবে দুটো ভাগে বিভক্ত করা হয়।

আসামের ইতিহাসের পাতায় তিওয়াদের স্থান উল্লেখযোগ্য। তিওয়া বীর জোঙ্গাল বলহু প্রাক ঐতিহাসিক যুগের একজন কিংবদন্তীমূলক রাজা। মধ্যযুগে গোভা, নেলী, থলা, চহরী সহ বেশ কয়েকটি ছোট বড় রাজ্য তাদের নেতৃত্বে কপিলি উপত্যকায় গড়ে উঠেছিল। তাছাড়া আহোমের রহা ও জগী চৌকির অধীনে ‘পাংচো রাজ্য’ ও ‘সাঁতো রাজ্য’ নামে ব্যারোটি ক্ষুদ্র রাজ্য সহ দমাল, দন্দুয়া আদি রাজ্যের জন্ম হয়েছিল। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে গোভা রাজা তিনজন ব্রিটিশকে ধরে এনে কালী দেবীর সন্মুখে তাদের বলি দিলে, ইংরেজদের রোষে পড়ে তাকে রাজ্য হারাতে হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিওয়াদের বিশেষ অবদান রয়েছে। এমনকি অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ ‘ফুলগুরি ধেঁয়া’র জন্ম ও নেতৃত্ব দিয়েছিল তিওয়ারা।

শব্দার্থঃ

তিওয়া – বিশেষ জাতি বা সম্প্রদায়।

বৈষ্ণব – বিষ্ণুর উপাসক।

মিশন – লক্ষ্য।

কনফারেন্স – সন্মেলন।

অন্ধবিশ্বাস – বিবেচনা না করে কোন কিছু মেনে নেওয়া।

উপাধ্যক্ষ – অধ্যক্ষের সহকারী।

রোষাগ্নি – তীব্র ক্রোধ বা রোষানল।

পূর্বপুরুষ – বংশের উর্ধ্ব পুরুষ।

মুরব্বি – বড়/প্রধান মাতব্বর।

শৈববাদ – শৈবধর্মে বিশ্বাসী।

নব বৈষ্ণববাদ – নতুন বৈষ্ণব ধর্মে বিশ্বাসী।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ

১। প্রাচীন কাল থেকে অসমে বসবাস করে আসা নৃগোষ্ঠীর নাম কী?

উত্তরঃ তিওয়া।

২। তিওয়া জনগোষ্ঠীকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

উত্তরঃ তিনটি।

৩। প্রাক ঐতিহাসিকযুগে অসমের কিংবদন্তীমূলক রাজার নাম কী?

উত্তরঃ তিওয়া বীর জোঙাল বলহু।

৪। কত খৃস্টাব্দে গোভা রাজা তিনজন ব্রিটিশকে ধরে এনে কালী দেবীর সম্মুখে তাদের বলি দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ ১৮৩৫ খৃস্টাব্দে।

৫। অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ ‘ফুলগুড়ি ধেঁয়া’র জন্ম ও নেতৃত্ব দিয়েছিল কারা/

উত্তরঃ তিওয়ারা।

৬। ১৯৪২ এর গণ আন্দোলনে তিওয়া জনজাতির মধ্যে কোন ব্যক্তি শহীদ হয়েছিলেন?

উত্তরঃ হেমরাম পাটর।

৭। দুই বা ততোধিক পরিবার একত্রিত হয়ে কী তৈরি হয়?

উত্তরঃ একটি মাহারি।

৮। কয়েকটি মাহারি একত্রিত হয়ে কী তৈরি হয়?

উত্তরঃ একটি কুল বা খুটা।

৯। একাধিক কুল মিলে কী তৈরি হয়?

উত্তরঃ একটি খেল।

১০। একাধিক খেল মিলে কী তৈরি হয়?

উত্তরঃ একটি গ্রাম।

১১। খেলের প্রশাসনিক ও সামাজিক মুরব্বিকে সমতলে কী বলা হয়>

উত্তরঃ ‘জেলা’ বলা হয়।

১২। পাহাড়ে একটি পিলুঙের (খেলের সমকক্ষ) মুরব্বিকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ লর।

১৩। ‘হারি কুঁয়রি’ কোন সমাজের এক সম্মানীয় ও মর্যাদাপূর্ণ পদবীর নাম?

উত্তরঃ তিওয়া সমাজের।

১৪। পাহাড়ে প্রতিটি পরিবারের মুরব্বিকে ‘জেলা’ বলার পাশাপাশি তাদের বাসগৃহকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ নবার।

১৫। তিওয়াদের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্রগুলিকে কী নামে অভিহিত করা হয়?

উত্তরঃ ‘চামাদি’ বা ‘ডেকাচাং’। 

১৬। ধার্মিক দিক দিয়ে তিওয়ারা মূলত কোন মতবাদে বিশ্বাসী?

উত্তরঃ জড়বাদে। 

১৭। অসমের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে কোন শতাব্দী থেকে খৃস্ট ধর্ম প্রসার লাভ করে?

উত্তরঃ বিংশ শতাব্দী থেকে।

১৮। প্রাচীন অর্থনীতির জীবন্ত দলিল কোনটি? 

উত্তরঃ জোনবিল মেলাটি।

১৯। তিওয়ারা কী ধরণের বস্ত্র পরিধান করে?

উত্তরঃ ফুল আঁকা বস্ত্র।

২০। বিশেষভাবে প্রস্তুত করা তিওয়াদের পানীয়কে কী বলে?

উত্তরঃ জ্য বলে। 

২১। বলাইরাম সেনাপতি কে?

উত্তরঃ অসম সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংস্কৃতি সাধক। 

২২। কত খ্রিস্টাব্দে বলাইরাম সেনাপতির জন্ম হয়?

উত্তরঃ ১৯৩১ সালের ৩ মার্চ। 

৩। ইন্দ্রসিংহ দেউরি কে চিলেন? 

উত্তরঃ তিওয়া জাতীয় জীবনের একজন কাণ্ডারি স্বরূপ।

২৪। ইন্দ্রসিংহ দেউরি কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে। 

২৫। কত খ্রিস্টাব্দে ইন্দ্রসিংহ দেউরি প্রথমবারের জন্য কার্বি আংলং স্বায়ত্ব শাসিত পরিষদের সাধারণ সদস্য হিসেবে মনোনীত হন?

উত্তরঃ ১৯৭৬ সালে। 

২৬। তিওয়াদের কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? ভাগগুলো কী কী?

উত্তরঃ তিওয়াদের তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। ভাগগুলো হলোঃ দাতিঅলিয়া, পাহাড়িয়া ও থলোয়ারি।  

২৭। তিওয়া সমাজের গঠনটি কোথা থেকে আরম্ভ হয়?

উত্তরঃ পরিবার থেকে।

২৮। কারা অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ 'ফুলগুড়ি ধেঁয়া'র জন্ম ও নেতৃত্ব দিয়েছিল?

উত্তরঃ তিওয়ারা।

২৯। কত খ্রিস্টাব্দে তিনজন ব্রিটিশকে কালী দেবীর সম্মুখে বলি দেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে।

৩০। মাহারি কীভাবে তৈরি হয়? কুল বা খুটা কী?

উত্তরঃ একাধিক পরিবার একত্রিত হয়ে মাহারি তৈরি হয় এবং কয়েকটি মাহারি একত্রিত হয়ে একটি কুল বা খুটা তৈরি হয়।

৩১। খেল কাকে বলে? একাধিক খেল মিলে কী তৈরি হয়?

উত্তরঃ একাধিক কুল মিলে একটি খেল তৈরি হয়। একাধিক খেল মিলে একটি গ্রাম তৈরি হয়।

৩২। খেলের প্রশাসনিক ও সামাজিক মুরব্বিকে সমতলে কী বলা হয়? লর কাকে বলে?

উত্তরঃ খেলের প্রশাসনিক ও সামাজিক মুরব্বিকে সমতলে 'জেলা' বলে। পাহাড়ে একটি পিলুঙের মুরব্বিকে লর বলা হয়।

৩৩। তিওয়াদের সম্মানীয় ও মর্যাদাপূর্ণ পদবী কী? তিওয়াদের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্রের নাম কী?

উত্তরঃ তিওয়াদের সম্মানীয় ও মর্যাদাপূর্ণ পদবী হল হারি কুয়রি। তিওয়াদের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্রের নাম হল চামাদি বা ডেকাচাং।

৩৪। তিওয়ারা মূলত কার উপাসক? পূর্বপুরুষকে কী হিসেবে পুজা করত?

উত্তরঃ তিওয়ারা মূলত জড়বাদী বা জড়োপাসক। পূর্বপুরুষকে তিওয়ারা উপাসক দেবতা হিসেবে পুজা করত।

৩৫। হিন্দুধর্ম থেকে উদ্ভূত হওয়া কয়েকটি মতবাদের উল্লেখ করো।

উত্তরঃ শাক্তবাদ, বৈষ্ণববাদ, শৈববাদ, নববৈষ্ণববাদ।

৩৬। পাহাড় অঞ্চলের বিভিন্ন পুজা বা পার্বণগুলো কী কী?

উত্তরঃ বানছুয়া, ছগ্রা, য়াংলি, মুইনারি, ডানঠি, লাংখন, মাইপথালা, মাইরাবা, থাপলাং, রাবানে পুজা, পান্থাইচ্যবা ইত্যাদি।

৩৭। আমিষভোজী তিওয়াদের প্রিয় খাদ্য কী কী?

উত্তরঃ টু মেছাম (মুরগির মাংস) এবং বা মেছাম (শূয়রের মাংস)।

৩৮। ইন্দ্রসিংহ দেউরিকে কী বলে সম্বোধন করা হত? কত খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়?

উত্তর? ইন্দ্রসিংহ দেউরিকে 'ফাপরৈ' (জাতির পিতা) বলে সম্বোধন করা হত। ১৯৯৪ খ্রিঃ ২০ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। 

৩৯। বলাইরাম সেনাপতির পিতা ও মাতার নাম কী?

উত্তরঃ বলাইরাম সেনাপতির পিতার নাম বগারাম সেনাপতি ও মাতার নাম পদ্মেশ্বরী বরদলৈ।

৪০। বলাইরাম সেনাপতির রচনা সমগ্র কবে প্রকাশিত হয়? কত সালে তিনি ইহলীলা সম্বরণ করেন?

উত্তরঃ বলাইরাম সেনাপতির রচনা সমগ্র ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১৪ সালের ১১ মে তিনি ইহলীলা সম্বরণ করেন। 

৪১। বর্তমানে তিওয়া জনজাতি কোন কোন অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে?

উত্তরঃ বর্তমানে তিওয়া জনজাতি বা জনগোষ্ঠীর লোকগুলো অসমের অসমের নগাঁও, মরিগাঁও, কামরূপ, কার্বি আংলং, জোড়হাট, ধেমাজি, লখিমপুর, শদিয়া ও মেঘালয় রাজ্যের কিছু অংশে বিশৃঙ্খল ভাবে রয়েছে।

৪২। ভারতের সাধীনতা আন্দোলনে তিওয়াদের অবদান আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিওয়াদের বিশেষ অবদান রয়েছে। অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ ‘ফুলগুরি ধেঁয়া’র জন্ম ও নেতৃত্ব দিয়েছিল তিওয়ারা। এই বিদ্রোহের অপরাধে চোয়াবর লালুঙ সহ আরও অনেক লোকের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি এগারোজন লোক যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়েছিল। ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে গোভা রাজা তিনজন ব্রিটিশকে ধরে এনে কালী দেবীর সন্মুখে তাদের বলি দিয়েছিলেন। যার ফলে ইংরেজদের রোষে পড়ে তাকে রাজ্য হারাতে হয়েছিল। এমনকি ১৯৪২ এর গণ আন্দোলনেও তিওয়া জনজাতির প্রতিনিধি, স্থানীয় ব্যক্তিত্ব হেমরাম পাটর শহিদ হয়েছিলেন।

৪৩। তিওয়াদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রটি কেন সমৃদ্ধ? 

উত্তরঃ তিওয়াদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রটি বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। স্নেহ-ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধের বিরল দৃষ্টান্ত তিওয়াদের জোনবিল মেলা। এই মেলাটি প্রাচীন অর্থনীতির জীবন্ত দলিল। এছাড়াও পাহাড় অঞ্চলের বিভিন্ন পুজা, পার্বণ ও উৎসবগুলো, যেমন - বানছুয়া, ছগ্রা, য়াংলি, মুইনারি, ডানঠি, লাংখন, মাইপথালা, মাইরাবা, থাপলাং, রাবানে পুজা, পান্থাইচ্যবা ইত্যাদি এবং সমতল অঞ্চলের উৎসব যেমন - জোনবিল মেলা, বরত, গোহাই উলিওয়া মেলা, বহাগ বিহু, মাঘ বিহু এবং কাতি বিহু ইত্যাদি তিওয়া সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট। তিওয়াদের বিভিন্ন উৎসবানুষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নৃত্য, গীত, বাদ্য আদি জড়িত হয়ে আছে। 

প্রঃ তিওয়াদের উৎসবানুষ্ঠানে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারগুলো উল্লেখ করো।

উত্তরঃ তিওয়াদের বিভিন্ন উৎসবানুষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নৃত্য-গীত-বাদ্য আদি জড়িত হয়ে আছে। বিভিন্ন উৎসবানুষ্ঠান অনুযায়ী খাম (ঢোল) বার, খাম খজুরা, খাম পান্থাই, দমদিং, দগর, পাতিট্রোল আদি চামড়ার বাদ্য, বাঁশের চিয়ারি দিয়ে তৈরি বাফাংগ্রাম, থক থররক, মুখে ফুঁ দিয়ে আঙুল দিয়ে বাজানো পাংশি (বাঁশি), থোরাং, মোষের শিঙের পেঁপা (শিঙা), মুহুরি এবং খায়াং ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার তিওয়া সমাজে দেখা যায়। 

প্রঃ তিওয়াদের পরিধেয় বস্ত্রগুলি কী কী? সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ স্বকীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ফুল আঁকা বস্ত্র তিওয়ারা পরিধান করে। পুরুষেরা থানা, তাগলা, থেনাচ, ফালি, ফাগা ইত্যাদি এবং মহিলারা কাছ্যং, ফাছকাই, নারা, ইত্যাদি পরিধান করে। তাছাড়া কয়েক প্রকার মণি যেমন চাপল, চিংলি ল, কল পান্থা আদি তিওয়ারা পরিধান করে। এছাড়াও খাইদং, ছন্যানে খাইদং, এবং রফানে খাইদং নামের কয়েক প্রকার কানের অলঙ্কার পরিধান করে। 

প্রঃ 'অল পার্টি হিলস লিডার কনফারেন্স' কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ তিওয়াসা মিশনের কাজ চলাকালীন 'অল পার্টি হিলস লিডার কনফারেন্স' একাংশ তিওয়া অঞ্চলকে নিয়ে মেঘালয় রাজ্য গঠনের দাবি উত্থাপন করায় ইন্দ্রসিংহ দেউরি এর প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ ইতিপূর্বে সংযুক্ত মিকির পাহাড় ও উত্তর কাছার পার্বত্য জিলা গঠনের সময় তিওয়া বসতি প্রধান এলাকা বিভাজিত হয়েছিল। তিওয়া জাতির উন্নতিকল্পে 'লালুং দরবার' নামক সংগঠনটি ১৯৬৭ সালে ইন্দ্রসিংহ দেউরির নেতৃত্বেই জন্ম হয়েছিল। 

প্রঃ ইন্দ্রসিংহ দেউরি কীভাবে তিওয়া সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন?

উত্তরঃ ইন্দ্রসিংহ দেউরি মহাশয় তিওয়া সাহিত্য-সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তাঁর রচিত তিওয়া কবিতা ও গান বেশ কিছু পত্র - পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর 'তিওয়া তসিমা' গানটি ইতিমধ্যে তিওয়া জাতীয় সংগীত হিসেবে তিওয়ারা গ্রহণ করেছে। এই জাতীয় সংগীতের সুর তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।

বস্তুতঃ ইন্দ্রসিংহ দেউরি মহাশয় ছিলেন তিওয়া জাতীয় জীবনের একজন কাণ্ডারি স্বরূপ। তিনি একাধারে সংগঠক, সমাজ সচেতক, সমাজ সংস্কারক, লেখক, গীতিকার, সুরকার এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। 

প্রঃ বলাইরাম সেনাপতি তিওয়া ভাষা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ বলাইরাম সেনাপতি ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য - সংস্কৃতির চর্চার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিওয়াদের নৃত্য - গীত - বাদ্য আদির চর্চা ও প্রসারের ক্ষেত্রে এক পদ্ধতিগত অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর রচনা করা তিওয়া লোকগীতির স্বরলিপি  - এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি তিওয়া জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য 'তিওয়া কৃষ্টি সংস্থা' গঠনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এক কথায় তিওয়া ভাষা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি প্রাণপাত করেছিলেন। 

প্রঃ টীকা লেখোঃ ইন্দ্রসিংহ দেউরি, বলাইরাম সেনাপতি।

উত্তরঃ ইন্দ্রসিংহ দেউরি - পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম রংখৈপার-এ  ১৯৩২ সালে ইন্দ্রসিংহ দেউরির জন্ম। তিনি ছিলেন মালচিং পোমও মামা আমচির তৃতীয় সন্তান। ১৯৩৯ সালে কার্বি আংলং জেলায় তাঁর শিক্ষাজীবন আরম্ভ হয়। ১৯৪৯ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। 'লালুং দরবার' নামক সংগঠনটি ১৯৬৭ সালে  ইন্দ্রসিংহ দেউরির নেতৃত্বেই জন্ম হয়েছিল। 

বলাইরাম সেনাপতি - অসম সাহিত্য - সংস্কৃতি জগতের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংস্কৃতি সাধক হলেন বলাইরাম সেনাপতি। তাঁর জন্ম ১৯৩১ সালের ৩ মার্চ নগাঁও জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ বারপূজিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা ছিলেন বগারাম সেনাপতি ও মাতা পদ্মেশ্বরী বরদলৈ। বারপূজিয়া এল পি ও এম ভি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের পর বলাইরাম সেনাপতি মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন নগাঁও গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর

প্রঃ ভাষিক দিক থেকে তিওয়ারা কোন শাখার লোক? 

উত্তরঃ ভাষিক দিক থেকে তিওয়ারা ইন্দো - চীনের অন্তর্গত তিব্বত - বর্মীয় ভাোষঙ্গী পরিবারের বৃহত্তর শাখা - 'বোড়োর' অন্তর্গত।

প্রঃ ফুলগুরি ধেয়া কী?

উত্তরঃ ফুলগুরি ধেয়া ছিল অসমের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের জন্ম ও নেতৃত্ব দিয়েছিল তিওয়ারা। ফুলগুরি ধেয়া বিদ্রোহের অপরাধে চোয়াবর লালুঙ সহ আরো অনেক লোকের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি এগারো জন লোক যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়েছিল। 

প্রঃ ইন্দ্রসিংহ দেউরি সম্পর্কে যা জানো লেখো।

উত্তরঃ তিওয়া জনজাতির মধ্যে জাতীয় চেতনা জাগ্রত করার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইন্দ্রসিংহ দেউরি। তিনি পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম রংখৈপার - এ ১৯৩২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্দ্রসিংহ ছিলেন মালচিং পোম ও মামা আমচির তৃতীয় সন্তান। ১৯৩৯ সালে কার্বি আংলং জেলার বাউলাগোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন আরম্ভ করে নগাঁও জেলার ডিমৌ হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। এরপর, অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৯ সালে ভারতীয় বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সংস্পর্শে আসেন। তিনি অনুভব করেন তিওয়াদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত দুরবস্থার কথা। আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য ১৯৫১ সালে পশুপালন বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু জাতির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য ১৯৫৩ সালে গারো পাহাড় জেলার তুরা থেকে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে পুনরায় জাতিকে জাগ্রত করার কাজে ব্রতী হন। কার্বি আংলং জেলার তিওয়াদের অন্ধবিশ্বাসসমূহ দূর করে শিক্ষার আলো বিতরণের পাশাপাশি তিওয়া সমাজকে আধুনিক সমাজের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মানসিকতায় অতি কষ্টে ইন্দ্রসিংহ দেউরি বিমাগলাই, রবটসিং আমসি ও পদ্মকান্ত কাকতি ইত্যাদি সচেতন ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ১৯৬০ সালে থারাবুজি গ্রামে 'তিওয়াসা মিশন' নামে এক সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্ম দেন। এই প্রতিষ্ঠানটি তিওয়া গ্রামগুলোতে প্রাথমিক পাঠদানের ব্যবস্থা করেছিল। তখন ইন্দ্রসিংহ "অতিওয়া, অ তিওয়া ছেরান ছাওয়া" নামের একটি জনপ্রিয় গান রচনা করেছিলেন।

'তিওয়াসা মিশনের' কাজ চলাকালীন 'অল পার্টি হিলস লিডার কনফারেন্স' এ একাংশ তিওয়া অঞ্চলকে নিয়ে মেঘালয় রাজ্য গঠনের দাবি উত্থাপন করায় ইন্দ্রসিংহ দেউরি এর প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ ইতিপূর্বে সংযুক্ত মিকির পাহাড় অ উত্তর কাছাড় পার্বত্য জিলা গঠনের সময় তিওয়া বসতি প্রধান এলাকা বিভাজিত হয়েছিল। তিওয়া জাতির উন্নতিকল্পে কাজ করার জন্য 'লালুং দরবার' নামক সংগঠনটি ১৯৬৭ সালে ইন্দ্রসিংহ দেউরির নেতৃত্বেই জন্ম হয়েছিল। ইন্দ্রসিংহ দেউরি মহাশয় ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের জন্য কার্বি আংলং স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদের সাধারণ সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। এবং পরবর্তী পর্যায়ে পরিষদের উপাধ্যক্ষ রূপেও নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত কার্বি আংলং স্বায়ত্ত শাসিত পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে আরি সমষ্টি থেকে 'লালুং দরবারের' হয়ে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী পর্যায়ে পরিষদের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। 

ইন্দ্রসিংহ দেউরি ছিলেন তিওয়া জাতীয় জীবনের একজন কাণ্ডারি স্বরূপ। তিনি একাধারে সংগঠক, সমাজ সচেতক, সমাজ সংস্কারক, লেখক, গীতিকার, সুরকার এবং বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। পাহাড়ের তিওয়ারা তাই ইন্দ্রসিংহ দেউরি 'ফাপরৈ' (জাতির পিতা) বলে সম্বোধন করত। যতদিন তিওয়া জাতির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন পর্যন্ত ইন্দ্রসিংহ দেউরি তিওয়া জাতির মধ্যে বেঁচে থাকবেন। ১৯৯৪ খ্রিঃ ২০ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। 

প্রঃ বলাইরাম সেনাপতি সম্পর্কে যা জানো লেখো। 

উত্তরঃ অসমিয়া সাহিত্য - সংস্কৃতির জগতে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংস্কৃতি সাধক হলেন বলাইরাম সেনাপতি। তাঁর জন্ম ১৯৩১ সালের ৩ মার্চ নগাঁও জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ বারপূজিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা ছিলেন বগারাম সেনাপতি ও মাত ছিলেন পদ্মেশ্বরী বরদলৈ। বারপূজিয়া এল পি ও এম ভি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের পর সেনাপতি মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন নগাঁও গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে। পারিবারিক সমস্যার জন্য হাইস্কুলের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার আগেই তিনি ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৩ সন পর্যন্ত উত্তর কাছাড় ও মিকির পাহাড় জেলার বরথল মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করেন। 'মিকির বৈচিত্রপূর্ণ অসম পাহাড়ত কি ঘটিছে' (মিকির পাহাড়ে কী ঘটছে) নামক 'রামধেনু' তে প্রকাশিত প্রবন্ধটির জন্য সরকারি কতৃপক্ষের রোষাগ্নিতে পড়ে মাত্র দশ বছর শিক্ষকতা করে বরথল এম  ই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চাকরি ছেড়ে ফিরে আসতে হয়। এরপর তিনি কৃষিকাজে মনোনিবেশ করেন। বলাইরাম সেনাপতি ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য - সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিওয়াদের নৃত্য - গীত - বাদ্য আদির চর্চা ও প্রসারের ক্ষেত্রে এক পদ্ধতিগত অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর লেখা তিওয়া লোকগীতির স্বরলিপি এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি তিওয়া জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য তিওয়াকৃষ্টি সংগঠনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিওয়া ভাষাটি প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তিনি প্রাণপাত করেছিলেন। সেনাপতির বহু সংখ্যক সাহিত্য অসমিয়া ভাষায় সৃষ্টি। এর দ্বারা তিনি কেবল তিওয়া সাহিত্য - সংস্কৃতিকেই নয় অসমিয়া সাহিত্যের ভাণ্ডারও সমৃদ্ধ করে গেছেন। তিনি 'রামধেনু' পত্রিকায় বিভিন্ন বিষয়ের লেখালেখির মাধ্যমে সেকালে অসমিয়া সাহিত্য - সংস্কৃতি জগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। গীতিকার, সুরকার, গায়ক সেনাপতি ১৯৫৪ সালে 'মুকুল' নামে একটি গানের বই রচনা করে প্রকাশ করেন। সেনাপতি দীর্ঘদিন অসম সাহিত্য সভার কার্যবাহক সদস্য ছিলেন। বারপূজিয়ায় অনুষ্ঠিত নগাঁও জিলা সাহিত্য সভার সভাপতি পদে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তা ছাড়া তিওয়া সাহিত্য সভার সভাপতি পদের আসন অলংকৃত করেছিলেন। সাহিত্যিক হিসাবে তাঁর অমর সৃষ্টি হলঃ 'অতীতর সন্ধানত' (১৯৯৭), 'পাঁচোরজিয়া অঞ্চলর লালুঙ লোকগীতির ওপরত সামান্য আলকপাত' (১৯৯৭), ''তিওয়া সমাজ আরু সংস্কৃতি' (২০১০), 'তিওয়া জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির আলকপাত' ইত্যাদি গ্রন্থসমূহ।পুস্তক আকারে প্রকাশিত ‘অনন্তদেব স্মারক বক্তৃতায়’ তাঁর প্রদান করা ‘তিওয়া জনজাতি এবং বৈষ্ণব সমাজ’ শীর্ষক ভাষণ’ টিতে সেনাপতির চিন্তার গভীরতা ও সমাজ বিশ্লেষণের বিচক্ষণতা সুন্দররূপে প্রকাশ পেয়েছে। সেনাপতির মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে ‘বলাইরাম সেনাপতি রচনাসমগ্র’ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্র, সাময়িক, তিওয়াগন স্মৃতিগ্রন্থ, মুখপত্র ইত্যাদিতে তিনি নিয়মিত লেখালেখি করতেন। এগুলির মধ্যে রামধেনু, আমার প্রতিনিধি, সাদিনীয়া, অসমিয়া নবযুগ, আজির অসম এবং গরীয়সী ইত্যাদির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাহিত্য জগতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে অসম সরকার তাঁকে সাহিত্যিক পেন্সন প্রদান করে।

বলাইরাম সেনাপতি রচিত গীতি আলেখ্য নগাঁও ও গুয়াহাটি বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী অথচ সহজ-সরল জীবনযাপন করা স্বল্পভাষী এই মহান ব্যক্তি ২০১৪ সালের ১১ ই মে ইহলীলা সম্বরণ করেন।  

পুস্তক আকারে প্রকাশিত ‘অনন্তদেব স্মারক বক্তৃতায়’ তাঁর প্রদান করা ‘তিওয়া জনজাতি এবং বৈষ্ণব সমাজ’ শীর্ষক ভাষণ’ টিতে সেনাপতির চিন্তার গভীরতা ও সমাজ বিশ্লেষণের বিচক্ষণতা সুন্দররূপে প্রকাশ পেয়েছে। সেনাপতির মৃত্যুর পর ২০১৭ সালে ‘বলাইরাম সেনাপতি রচনাসমগ্র’ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্র, সাময়িক, তিওয়াগন স্মৃতিগ্রন্থ, মুখপত্র ইত্যাদিতে তিনি নিয়মিত লেখালেখি করতেন। এগুলির মধ্যে রামধেনু, আমার প্রতিনিধি, সাদিনীয়া, অসমিয়া নবযুগ, আজির অসম এবং গরীয়সী ইত্যাদির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সাহিত্য জগতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে অসম সরকার তাঁকে সাহিত্যিক পেন্সন প্রদান করে।

বলাইরাম সেনাপতি রচিত গীতি আলেখ্য নগাঁও ও গুয়াহাটি বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছে। বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী অথচ সহজ-সরল জীবনযাপন করা স্বল্পভাষী এই মহান ব্যক্তি ২০১৪ সালের ১১ ই মে ইহলীলা সম্বরণ করেন।  



Rajesh Konwar

Author & Editor

Has laoreet percipitur ad. Vide interesset in mei, no his legimus verterem. Et nostrum imperdiet appellantur usu, mnesarchum referrentur id vim.

0 comments:

Post a Comment