ধূলামন্দির
কবিতার সারমর্ম:
কবিতাটি একজন
মানবিক
ঈশ্বরের ধারণাকে তুলে
ধরেছে,
যিনি
মন্দিরে আরাধনার বাইরে,
জনজীবনের কঠোর
পরিশ্রমে, কৃষকের
হাতে,
পথ
নির্মাণে, জীবনের
বাস্তব
কর্মে
উপস্থিত। এখানে
ঈশ্বরকে কোনও
অলংকৃত
মন্দিরে আবদ্ধ
করে
রাখার
পরিবর্তে, বাস্তব
জীবনের
কঠোর
পরিশ্রমে তাঁর
উপস্থিতি অনুধাবনের আহ্বান
জানানো
হয়েছে।
প্রধান
ভাবনা:
- ঈশ্বরের উপস্থিতি মন্দিরের কোণে বা অলঙ্কৃত পূজাপাঠে নয়, বরং মানুষের বাস্তব জীবনের শ্রমে, কর্মে নিহিত।
- কর্মযোগই হলো মুক্তির পথ, শুধুমাত্র প্রথাগত ভজন-পূজায় নয়।
- মানুষের পরিশ্রম, তার ঘাম আর সংগ্রামে ঈশ্বরের সঠিক আরাধনা নিহিত।
- মুক্তি বা আত্মা মুক্তির ধারণা শুধুমাত্র শাস্ত্রীয় কথন নয়, বরং কর্মযোগের মধ্যে নিহিত।
লাইনের
অর্থ ব্যাখ্যা:
"ভজন পূজন সাধন আরাধনা
সমস্ত থাকে পড়ে"
"রুদ্ধদ্বারে
দেবালয়ের কোণে কেন আছিস ওরে!"
"অন্ধকারে
লুকিয়ে আপন মনে কাহারে তুই পুঁজিস সংগোপনে"
"নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে - দেবতা নাই ঘরে"
"তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে করছে চাষা চাষ"
"পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ, খাটছে বারো মাস"
"রৌদ্রে
জলে আছেন সবার সাথে, ধুলা তাহার লেগেছে দুই হাতে"
"তাঁরি মতন শুচি বসন ছাড়ি আয় রে ধুলার 'পরে"
"মুক্তি?
ওরে, মুক্তি কোথায় পাবি, মুক্তি কোথায় আছে!"
"আপনি প্রভু সৃষ্টিবাধঁন
প'রে বাঁধা সবার কাছে"
"রাখো রে ধ্যান, থাকে রে ফুলের ডালি, ছিঁড়ুক
বস্ত্র, লাগুক ধুলাবালি"
"কর্মযোগে
তাঁর সাথে এক হয়ে ঘর্ম পড়ুক ঝরে"
কবিতার
মূল বার্তা:
মহান কোনো
আরাধনা
বা
মুক্তি
শুধু
মন্দির
বা
ঘরোয়া
পূজায়
নয়,
বরং
কঠোর
পরিশ্রম ও
কর্মযোগেই নিহিত।
ঈশ্বর
বাস্তব
জীবন,
মানুষের পরিশ্রমের মধ্যেই
বাস
করে।
আমাদের
উচিত
কাজের
মাধ্যমে ঈশ্বরকে আরাধনা
করা,
বাহ্যিক ভজন
পূজায়
নয়।
সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
এই কবিতায় ঈশ্বরের আরাধনা এবং মুক্তির ধারণাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। কবি বলছেন, ঈশ্বর মন্দিরের গুটিকয়েক দেয়ালের মধ্যে আটকে নেই; তিনি শ্রমিক, কৃষক, পথ নির্মাতাদের কষ্ট ও পরিশ্রমের মধ্যে উপস্থিত। ভজন-পূজা বা বাহ্যিক সাধনার চেয়ে বেশি মূল্যবান হলো কর্মযোগ—নিজের পরিশ্রমে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা।
কবিতার ভাষা সরল ও গভীর, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা ও আধ্যাত্মিকতার সেতুবন্ধন ঘটায়। শুদ্ধ ও পরিশীলিত পোশাকের বদলে ধূলাবালি, সূর্য-জলের ছোঁয়ায় পুষ্ট এক জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে কবি পাঠককে আহ্বান জানাচ্ছেন।
মুক্তি বা পরম সত্যের সন্ধান বাহ্যিক আচরণে নয়, জীবনের কর্মযোগে নিহিত—এই বার্তা কবিতার মূল সার। এটি আমাদের শিখায়, জীবনকে কর্ম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে পূজার সর্বোচ্চ রূপে পরিণত করতে হবে।
প্রশ্ন
ও উত্তর
১। কবিতায় ‘ভজন পূজন সাধন আরাধনা সমস্ত থাকে পড়ে’ বাক্যটির অর্থ কী?
উত্তর:
এখানে
বলা
হয়েছে
যে
ভজন-পূজা ও আরাধনা
শুধু
পড়ে
থাকা
কাজ
বা
প্রথাগত মন্দিরের ভিতর
সীমাবদ্ধ থাকে,
বাস্তব
জীবনের
কর্মে
নয়।
২। কবিতায় ‘রুদ্ধদ্বারে দেবালয়ের কোণে কেন আছিস ওরে!’ এই অংশে কী ভাব প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর:
ঈশ্বরকে মন্দিরের ভিতরে
আটকে
রাখার
বিরুদ্ধে প্রশ্ন
তোলা
হয়েছে।
বলা
হয়েছে,
ঈশ্বর
যেন
বাস্তব
জীবনের
বাইরে
শুধু
মন্দিরের কোণে
লুকিয়ে
আছেন,
যা
উচিত
নয়।
৩। ‘তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে করছে চাষা চাষ’ এই লাইনটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:
বলা
হয়েছে
ঈশ্বর
বাস্তব
জীবনের
শ্রমিকদের সঙ্গে,
যারা
মাটি
চাষ
করে
কঠোর
পরিশ্রম করছেন,
সেখানে
ঈশ্বর
বিরাজমান।
৪। কবিতায় মুক্তি সম্পর্কে কী ধারণা দেয়া হয়েছে?
উত্তর:
মুক্তি
বাহ্যিক ভজনপূজায় নয়,
বরং
কর্মযোগে, অর্থাৎ
কঠোর
পরিশ্রম ও
ঈশ্বরের সঙ্গে
একাত্ম
হয়ে
কাজ
করার
মধ্যেই
নিহিত।
৫। ‘রাখো রে ধ্যান, থাকে রে ফুলের ডালি, ছিঁড়ুক বস্ত্র, লাগুক ধুলাবালি’ এই অংশের অর্থ কী?
উত্তর:
এখানে
বাহ্যিক সৌন্দর্য ও
শুদ্ধতা ত্যাগ
করে
বাস্তব
পরিশ্রমে মনোযোগ
দিতে
বলা
হয়েছে।
অর্থাৎ
কাজের
মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে
পৌঁছানোর আহ্বান।
৬। কবিতায় ঈশ্বরের কোন রূপটি তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তর:
ঈশ্বরকে শ্রমিক,
চাষা
এবং
পথ
নির্মাতা মানুষের পরিশ্রমের সঙ্গে
যুক্ত
এক
বাস্তবিক ও
মানবিক
রূপে
দেখানো
হয়েছে।
৭। কবিতার প্রধান বার্তা কী?
উত্তর:
ঈশ্বর
শুধু
মন্দিরের মধ্যে
বা
বাহ্যিক পূজায়
নয়,
বরং
মানুষের কঠোর
পরিশ্রম ও
কর্মযোগে উপস্থিত, তাই
মুক্তি
ও
আরাধনা
কর্মযোগে নিহিত।
৮। ‘অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে কাহারে তুই পুঁজিস সংগোপনে’ — এই লাইনটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর:
ঈশ্বরকে গোপনে,
অন্ধকারে লুকিয়ে
রাখার
অবস্থা
নিয়ে
প্রশ্ন
তোলা
হয়েছে;
অর্থাৎ
ঈশ্বরকে মন্দির
বা
ঘরের
মধ্যে
আটকে
রেখে
রাখার
পদ্ধতি
ঠিক
নয়।
৯। ‘নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে—দেবতা নাই ঘরে’ — এখানে কী ইঙ্গিত রয়েছে?
উত্তর:
ঈশ্বর
মন্দিরের ভিতরে
নেই,
বাস্তব
জীবনের
মানুষের কাজ-সংগ্রামে আছে, তাই বাহ্যিক পূজায়
ঈশ্বর
পাওয়া
যায়
না।
১০। কবিতায় ‘মাটি ভেঙে করছে চাষা চাষ’ ও ‘পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ’ — এই দুই লাইন কী বোঝাচ্ছে?
উত্তর:
এটি
মানুষের কঠোর
পরিশ্রমের প্রতীক,
যাদের
পরিশ্রমে সমাজ
ও
জীবন
গড়ে
ওঠে।
১১। ‘রৌদ্রে জলে আছেন সবার সাথে’ — এই লাইনে কী বার্তা?
উত্তর:
ঈশ্বর
বাস্তব
জীবনের
সবাইের
সাথেই
আছেন,
যাদের
কাজের
ঘামে,
রোদ-জলে ভেজা তাদের
মাঝে।
১২। ‘তাঁরি মতন শুচি বসন ছাড়ি আয় রে ধুলার ‘পরে’ — এর অর্থ কী?
উত্তর:
বাহ্যিক শুদ্ধতা ও
পরিষ্কার পোশাকের বাইরে
এসে,
পরিশ্রম ও
ধূলাবালিতে মাখা
মানুষের সাথে
মিলেমিশে কাজ
করো।
১৩। কবিতায় ‘মুক্তি কোথায় পাবি’—মুক্তির ধারণাটি কীভাবে উপস্থাপিত হয়েছে?
উত্তর:
মুক্তি
বাহ্যিক উপস্থাপনার বাইরে,
কর্মযোগ ও
জীবনের
সংগ্রামে নিহিত।
১৪। ‘কর্মযোগে তাঁর সাথে এক হয়ে ঘর্ম পড়ুক ঝরে’ — এই লাইন থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তর:
ঈশ্বরের সঙ্গ
পাওয়ার
জন্য
কর্মযোগ করা
দরকার,
অর্থাৎ
পরিশ্রমে লিপ্ত
হয়ে
নিজেকে
ঈশ্বরের সঙ্গে
একাত্ম
করা।
১৫। কবিতায় ঈশ্বরের মন্দিরের বাইরের উপস্থিতিকে কেন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? এই ধারণাটি আমাদের জীবনের কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর:
কবিতায়
ঈশ্বরকে মন্দিরের বাইরের
বাস্তব
পরিশ্রমের মাঝে
উপস্থাপন করে
বলা
হয়েছে,
সত্যিকারের ধর্ম
ও
আধ্যাত্মিকতা হলো
কর্মযোগ—মানুষের কঠোর
পরিশ্রম ও
সমাজসেবার মধ্য
দিয়ে
ঈশ্বরের সঙ্গে
মিলন।
এটি
আমাদের
শেখায়,
আলাদা
আলাদা
পূজা-পাঠের বাইরে নিজ
কাজের
প্রতি
নিষ্ঠা
ও
পরিশ্রমের মধ্যেই
ঈশ্বরের প্রকৃত
আরাধনা।
১৬। ‘মুক্তি কোথায় পাবি’—মুক্তির ধারণা কবিতায় কিভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে? তা কি শাস্ত্রীয় ধারণার থেকে ভিন্ন?
উত্তর:
কবিতায়
মুক্তি
অর্থ
কেবল
আত্মার
মুক্তি
বা
মন্দিরের বাহ্যিক পূজায়
সীমাবদ্ধ না
থেকে,
কর্মযোগের মধ্যেই
খুঁজে
পাওয়া
যায়।
এটি
শাস্ত্রীয় মুক্তির ধারণার
থেকে
আলাদা,
যেখানে
মুক্তি
মানে
মোক্ষ
বা
পরম
শান্তি। এখানে
মুক্তি
হলো
জীবনের
সংগ্রাম, পরিশ্রম ও
ঈশ্বরের সঙ্গে
একাত্ম
হওয়ার
মধ্য
দিয়ে
পাওয়া
শান্তি।
১৭। কবিতায় ‘ধুলাবালি’ এবং ‘শুচি বসন’—এই দুটি শব্দের মাধ্যমে কী বৈপরীত্য তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তর:
‘শুচি
বসন’
হলো
বাহ্যিক পবিত্রতা বা
সৌন্দর্যের প্রতীক,
যেখানে
‘ধুলাবালি’ বাস্তব
জীবনের
কঠোর
পরিশ্রম ও
মাটির
স্পর্শকে বোঝায়।
কবিতায়
এই
দুটির
বৈপরীত্য তুলে
ধরা
হয়েছে
যাতে
বোঝানো
হয়,
সত্যিকারের পবিত্রতা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়,
বরং
বাস্তব
কাজ
ও
পরিশ্রমেই নিহিত।
১৮। কবিতার ভাষা ও ছন্দের মাধ্যমে কী ধরনের অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে? কীভাবে তা কবিতার ভাবের সঙ্গে মানানসই?
উত্তর:
কবিতার
সরল,
হৃদয়স্পর্শী ভাষা
ও
ছন্দ
পাঠকের
মনে
গভীর
প্রভাব
ফেলে।
তা
যেমন
বাঙালি
কৃষক
ও
শ্রমিকের জীবনের
কষ্টকে
স্পষ্ট
করে
তোলে,
তেমনই
কর্মযোগের প্রতি
আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সাবলীল
ও
শক্তিশালী করে।
কবিতার
ছন্দ
ঐক্যবদ্ধ এবং
মৃদু,
যা
কবিতার
ভাবের
সঙ্গে
খাপ
খায়।
১৯। কবিতায় কর্মযোগকে মুক্তির পথ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনার মতে, আজকের আধুনিক জীবনে এই ধারণার প্রাসঙ্গিকতা কী?
উত্তর:
আধুনিক
জীবনে
অনেকেই
তাড়াহুড়া ও
মানসিক
চাপের
মধ্যে
থাকেন।
এই
কবিতার
কর্মযোগের ধারণা
আমাদের
শেখায়,
শুধু
ভাবনায়
বা
ধর্মীয়
আচরণে
সীমাবদ্ধ না
থেকে,
কাজের
মাধ্যমে, নিষ্ঠার সঙ্গে
জীবন
যাপন
করলেই
আমরা
প্রকৃত
শান্তি
ও
মুক্তি
পেতে
পারি।
এটি
মানসিক
ও
শারীরিক শান্তির জন্য
এক
মূল্যবান শিক্ষা।
২০। কবিতার শেষ দুই লাইন ‘কর্মযোগে তাঁর সাথে এক হয়ে ঘর্ম পড়ুক ঝরে’ কীভাবে কবিতার মূল বার্তাকে সারাংশ করে?
উত্তর:
শেষ
লাইনগুলো কর্মযোগের গুরুত্ব ও
তাৎপর্যকে সর্বোচ্চ মাত্রায় তুলে
ধরে।
এখানে
বলা
হয়েছে
ঈশ্বরের সঙ্গে
একাত্ম
হয়ে
পরিশ্রম করাই
প্রকৃত
আরাধনা
ও
মুক্তির পথ।
এটি
কবিতার
মূল
ভাব,
যেখানে
ঈশ্বরকে বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান থেকে সরিয়ে এনে
বাস্তব
কর্মের
সঙ্গে
যুক্ত
করা
হয়েছে।
MCQ প্রশ্ন ও উত্তর — কবিতা থেকে
১।
কবিতার প্রথম লাইনে ‘ভজন পূজন সাধন আরাধনা’ কী বোঝানো হয়েছে?
a) ধর্মীয় আচার
b) প্রকৃতির চিত্র
c) কৃষকের জীবন
d) খেলাধুলা
উত্তর:
a) ধর্মীয় আচার
২।
কবিতার ‘রুদ্ধদ্বারে
দেবালয়ের কোণে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
a) মুক্ত আকাশ
b) মন্দিরের ভিতর
c) গ্রামের রাস্তা
d) নদীর তীর
উত্তর:
b) মন্দিরের ভিতর
৩।
‘অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে’ কোন শব্দের বর্ণনা?
a) কৃষক
b) ঈশ্বর
c) চোর
d) পাখি
উত্তর:
b) ঈশ্বর
৪।
‘কাহারে তুই পুঁজিস সংগোপনে’ — এখানে ‘পুঁজিস’ শব্দের অর্থ কী?
a) ভক্তি করা
b) লুকানো
c) ডাকা
d) খেলা করা
উত্তর:
a) ভক্তি করা
৫।
‘নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে’ — এখানে ‘নয়ন’ কী বোঝানো?
a) হাত
b) চোখ
c) পা
d) কান
উত্তর:
b) চোখ
৬।
‘দেবতা নাই ঘরে’ — এই লাইন থেকে
কী বোঝা যায়?
a) মন্দির খালি
b) প্রকৃত ঈশ্বর ঘরে নেই
c) কেউ আসেনি
d) ঘর ভাঙা
উত্তর:
b) প্রকৃত ঈশ্বর ঘরে নেই
৭।
‘তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে করছে চাষা চাষ’ — ‘তিনি’ কার প্রতি ইঙ্গিত?
a) কৃষক
b) ঈশ্বর
c) মন্দির পুরোহিত
d) রাজা
উত্তর:
b) ঈশ্বর
৮।
‘পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ’ — এটি কী নির্দেশ করে?
a) প্রকৃতির দৃশ্য
b) মানুষের কঠোর পরিশ্রম
c) মন্দিরের পথ
d) নদীর ধার
উত্তর:
b) মানুষের কঠোর পরিশ্রম
৯।
‘খাটছে বারো মাস’ — এই লাইনটি কী
বোঝায়?
a) সারা বছর কাজ করা
b) বারো মাসের ছুটি
c) সময় অতিবাহিত
d) ধান কাটার সময়
উত্তর:
a) সারা বছর কাজ করা
১০।
‘রৌদ্রে জলে আছেন সবার সাথে’ — ‘তিনি’ কোথায় আছেন?
a) মাঠে
b) মন্দিরে
c) বাড়িতে
d) শহরে
উত্তর:
a) মাঠে
১১।
‘ধুলা তাহার লেগেছে দুই হাতে’ — এখানে ধুলার অর্থ কী?
a) অপরিষ্কার
b) পরিশ্রমের চিহ্ন
c) অসুন্দর
d) ঘাম
উত্তর:
b) পরিশ্রমের চিহ্ন
১২।
‘তাঁরি মতন শুচি বসন ছাড়ি আয় রে ধুলার
‘পরে’ — এর অর্থ কী?
a) পরিষ্কার কাপড় পরো
b) পরিশ্রমের ধুলাবালিতে মাখাও নিজেকে
c) ঘরে বসো
d) মন্দিরে যাও
উত্তর:
b) পরিশ্রমের ধুলাবালিতে মাখাও নিজেকে
১৩।
কবিতায় ‘মুক্তি’
কীভাবে বোঝানো হয়েছে?
a) ঘর থেকে বের হওয়া
b) আধ্যাত্মিক মুক্তি
c) অর্থ উপার্জন
d) গান গাওয়া
উত্তর:
b) আধ্যাত্মিক মুক্তি
১৪।
‘মুক্তি কোথায় পাবি’ — এই প্রশ্নটি কী
নির্দেশ করে?
a) মুক্তি সহজ
b) মুক্তি কঠিন
c) মুক্তি দরকার নেই
d) মুক্তি মন্দিরে
উত্তর:
b) মুক্তি কঠিন
১৫।
‘আপনি প্রভু সৃষ্টিবাধঁন প’রে বাঁধা
সবার কাছে’ — এর অর্থ কী?
a) ঈশ্বর সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত
b) ঈশ্বর অসাধারণ
c) ঈশ্বর মুক্ত
d) ঈশ্বর দূরে
উত্তর:
a) ঈশ্বর সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত
১৬।
‘রাখো রে ধ্যান’ — এখানে
‘ধ্যান’ কী বোঝানো?
a) ফুল
b) মনোযোগ বা ধ্যান
c) গান
d) দোয়া
উত্তর:
b) মনোযোগ বা ধ্যান
১৭।
‘থাকে রে ফুলের ডালি’
— এখানে ফুলের ডালি কি নির্দেশ করে?
a) প্রকৃতি
b) বাহ্যিক পূজার উপকরণ
c) খাদ্য
d) রাজবংশ
উত্তর:
b) বাহ্যিক পূজার উপকরণ
১৮
। ‘ছিঁড়ুক বস্ত্র’ — এর অর্থ কী?
a) পোশাক বদলানো
b) বাহ্যিক শুদ্ধতা ত্যাগ করা
c) নতুন বস্ত্র পরা
d) মন্দিরে যাওয়া
উত্তর:
b) বাহ্যিক শুদ্ধতা ত্যাগ করা
১৯।
‘লাগুক ধুলাবালি’ — এখানে ধুলাবালি কী বোঝানো?
a) অপরিষ্কার ধুলা
b) পরিশ্রমের চিহ্ন
c) ফুলের গন্ধ
d) আলো
উত্তর:
b) পরিশ্রমের চিহ্ন
২০।
‘কর্মযোগে তাঁর সাথে এক হয়ে ঘর্ম
পড়ুক ঝরে’ — এর অর্থ কী?
a) পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়া
b) ঘুমানো
c) গান গাওয়া
d) বিশ্রাম নেওয়া
উত্তর:
a) পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়া
২১।
কবিতার প্রধান
বার্তা কী?
a) মন্দিরে পূজা অপরিহার্য
b) ঈশ্বর পরিশ্রমী মানুষের সঙ্গে আছেন
c) ফুল দিয়ে পূজা করা উচিত
d) ধুলাবালি অপছন্দ
উত্তর:
b) ঈশ্বর পরিশ্রমী মানুষের সঙ্গে আছেন
২২।
‘রুদ্ধদ্বারে’
শব্দটির অর্থ কী?
a) মুক্ত জায়গা
b) বন্ধ দরজা
c) উন্মুক্ত স্থান
d) বড় মাঠ
উত্তর:
b) বন্ধ দরজা
২৩।
‘অন্ধকারে লুকিয়ে’ — কবিতায় এর অর্থ কী?
a) গোপনে থাকা
b) রাত
c) আলো থেকে দূরে থাকা
d) খেলা করা
উত্তর:
a) গোপনে থাকা
২৪।
‘পাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ’ — এই লাইন কোন
কাজের প্রতীক?
a) প্রকৃতির কাজ
b) মানুষের সংগ্রাম
c) যুদ্ধের দৃশ্য
d) পশুর চলাচল
উত্তর:
b) মানুষের সংগ্রাম
২৫।
কবিতায় ‘মাটি ভেঙে করছে চাষা চাষ’ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
a) প্রকৃতির পরিবর্তন
b) কৃষকের কঠোর পরিশ্রম
c) মাটির গঠন
d) বৃষ্টি
উত্তর:
b) কৃষকের কঠোর পরিশ্রম
২৬।
‘রৌদ্রে জলে আছেন সবার সাথে’ — কবিতার কোন ভাবকে প্রকাশ করে?
a) ঐক্য ও পরিশ্রম
b) আনন্দ
c) অবসাদ
d) একাকিত্ব
উত্তর:
a) ঐক্য ও পরিশ্রম
২৭।
‘ধুলা তাহার লেগেছে দুই হাতে’ — ধুলার অর্থ?
a) ময়লা
b) পরিশ্রমের চিহ্ন
c) অপরিচ্ছন্নতা
d) রং
উত্তর:
b) পরিশ্রমের চিহ্ন
২৮
। ‘তাঁরি মতন শুচি বসন ছাড়ি’ — কী বোঝানো?
a) নতুন পোশাক পরা
b) মিথ্যা শুদ্ধতা ত্যাগ করা
c) ফুল দিয়ে সাজানো
d) ঘরে থাকা
উত্তর:
b) মিথ্যা শুদ্ধতা ত্যাগ করা
২৯।
কবিতার শেষ লাইন কী বার্তা দেয়?
a) কর্মযোগে মুক্তি পাওয়া যায়
b) ধ্যানেই মুক্তি
c) ফুল দিয়ে পূজা ভালো
d) আরাম প্রয়োজন
উত্তর:
a) কর্মযোগে মুক্তি পাওয়া যায়
৩০।
কবিতার মূল উপজীব্য কী?
a) প্রকৃতি
b) কর্মযোগ ও বাস্তবতা
c) ঈশ্বরের মন্দির
d) কৃষকের গল্প
উত্তর:
b) কর্মযোগ ও বাস্তবতা
৩০টি প্রশ্ন ও একশব্দ উত্তর
·
ভজন
পূজন কী?
উত্তর:
সাধনা
·
কবিতায়
কোথায় ‘রুদ্ধদ্বারে’ বলা হয়েছে?
উত্তর:
দেবালয়
·
‘কোণে’
শব্দটি কোন স্থানের জন্য ব্যবহৃত?
উত্তর:
মন্দির
·
‘অন্ধকারে’
কী লুকানো হয়েছে?
উত্তর:
আপনমন
·
‘কাহারে’
কার প্রতি ইঙ্গিত?
উত্তর:
ভক্তি
·
‘পুঁজিস’
শব্দের অর্থ কী?
উত্তর:
ভক্তি
·
‘নয়ন’
মানে কী?
উত্তর:
চোখ
·
‘দেবতা
নাই ঘরে’ অর্থ?
উত্তর:
অনুপস্থিতি
·
‘তিনি’
কার প্রতি ইঙ্গিত?
উত্তর:
ঈশ্বর
·
‘মাটি
ভেঙে করছে’ কী কাজ?
উত্তর:
চাষা
·
‘পাথর
ভেঙে’ কী কাটা হচ্ছে?
উত্তর:
পথ
·
‘বারো
মাস’ কত সময়?
উত্তর:
একবছর
·
‘রৌদ্রে
জলে’ কোথায় আছেন?
উত্তর:
মাঠে
·
ধুলা
কার হাতে লেগেছে?
উত্তর:
দুই
·
‘শুচি
বসন’ কী?
উত্তর:
পরিষ্কার
·
ধুলাবালি
কোথায় লাগুক?
উত্তর:
হাতে
·
‘মুক্তি’
কোথায় পাবি?
উত্তর:
নেই
·
‘সৃষ্টিবাধঁন’
কী?
উত্তর:
বন্ধন
·
‘বাঁধা’
কার কাছে?
উত্তর:
সবার
·
‘ধ্যান’
মানে?
উত্তর:
মনোযোগ
·
‘ফুলের
ডালি’ কী?
উত্তর:
সাজসজ্জা
·
‘বস্ত্র’
কী?
উত্তর:
পোশাক
·
‘ছিঁড়ুক’
অর্থ?
উত্তর:
ভাঙ্গা
·
‘ধুলাবালি’
কী?
উত্তর:
ময়লা
·
‘কর্মযোগ’
মানে?
উত্তর:
পরিশ্রম
·
‘এক
হয়ে’ কী বোঝানো?
উত্তর:
মিলন
·
‘ঘর্ম’
কী?
উত্তর:
ঘাম
·
‘ঝরে’
অর্থ?
উত্তর:
পড়া
·
‘সঙ্গে
আছেন’ কারা?
উত্তর:
সবাই
·
কবিতার
প্রধান ভাব?
উত্তর:
পরিশ্রম
১. ভজন পূজন আর সাধনা নিয়ে ব্যাখ্যা
কবিতার শুরুতে বলা
হয়েছে
ভজন,
পূজন,
সাধনা,
আরাধনা—সবই মানুষের ধর্মীয়
ক্রিয়া,
যেগুলো
সাধারণত মন্দির
বা
দেবালয়ে হয়।
কিন্তু
কবি
প্রশ্ন
তুলছেন,
এসব
ভক্তি
কেন
‘রুদ্ধদ্বারে’, অর্থাৎ
বন্ধ
দরজার
পেছনে
বা
মন্দিরের ‘কোণে’
গোপনে
রাখা
হচ্ছে?
অর্থাৎ
প্রকৃত
ঈশ্বরের সন্ধান
মন্দিরের মধ্যে
নয়,
অন্য
কোথাও।
২. প্রকৃত ঈশ্বর কোথায় আছে তার ব্যাখ্যা
কবি বলছেন প্রকৃত
ঈশ্বর
‘ঘরে
নেই’,
মন্দিরেও নেই।
তিনি
সেখানে
আছেন
যেখানে
মাটি
ভেঙে
চাষা
চাষ
করে,
পাথর
ভেঙে
পথ
কেটে,
বছরভর
পরিশ্রম করছে।
অর্থাৎ
ঈশ্বর
কাজের
মধ্যে,
পরিশ্রমের মধ্যে,
প্রকৃতির সাথে
মিশে
আছেন।
৩. পরিশ্রমের
মহত্ত্বের ব্যাখ্যা
কবি
পরিশ্রমকে ঈশ্বরের সমতুল্য করে
তুলেছেন। যেখানে
রোদ
এবং
জল
মিলিয়ে
মাঠে
কাজ
হচ্ছে,
যেখানে
হাতে
ধুলা
লেগেছে,
সেই
পরিশ্রমকে পবিত্র
বলা
হয়েছে।
‘শুচি
বসন
ছাড়ি’
অর্থাৎ
পরিশ্রুত হাতে
ধুলা
লেগে
থাকলেও
সেই
পরিশ্রমই প্রকৃত
শুদ্ধতা।
৪. মুক্তি বা মোক্ষের ব্যাখ্যা
কবিতায়
প্রশ্ন
করা
হয়েছে—মুক্তি কোথায়? কবি
বলেছেন
মুক্তি
কোনো
আলাদা
জায়গায়
নেই।
সকলেই
সৃষ্টির বন্ধনে
বাঁধা।
অর্থাৎ
মোক্ষ
কিংবা
মুক্তি
শুধু
সাধনা
বা
ভক্তির
মধ্যে
নয়,
বরং
কর্মযোগ, অর্থাৎ
পরিশ্রমের মধ্যেই
নিহিত।
৫. কর্মযোগের
গুরুত্বের ব্যাখ্যা
শেষ ভাগে বলা
হয়েছে,
ফুলের
সাজসজ্জা, বাহ্যিক ছিঁড়ে
যাওয়া
বা
ধুলাবালি লাগা
কোনো
ব্যাপার নয়।
কর্মযোগে ঈশ্বরের সাথে
একাত্ম
হয়ে
ঘামের
বিন্দু
ঝরে
পড়া
পর্যন্ত পরিশ্রম করলে
তবেই
প্রকৃত
পূজা
হয়।
অর্থাৎ
কর্মের
মধ্য
দিয়ে
ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ
করা
যায়।
0 comments:
Post a Comment